A

একটি মাইয়া ছিল


একটি মাইয়া ছিল

এক গ্রামে এক মেয়ের জন্ম হয়েছিল। তার নাম ছিল রুপা। ছোটবেলা থেকেই সে ছিল খুবই চঞ্চল, হাসিখুশি আর স্বপ্নবাজ। গ্রামের কাঁচা রাস্তা, সরষে ক্ষেতে দৌড়ানো, আর নদীর ধারে বসে জলে পা ডুবিয়ে স্বপ্ন দেখা—এটাই ছিল তার প্রতিদিনের কাজ।

রুপার বাবা-মা খুব সাধারণ মানুষ, কিন্তু তারা চাইতেন মেয়েটা বড় হয়ে অনেক কিছু করুক। রুপারও ছিল বিশাল বড় স্বপ্ন—সে পড়াশোনা শিখে শিক্ষক হবে, গ্রামের সব ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াবে, যেন সবাই বড় কিছু হতে পারে। কিন্তু সমাজের রীতি ছিল আলাদা, মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে কেউ ততটা মাথা ঘামাতো না।

একদিন রুপার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লেন, আর সংসারের সব দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ল। সে হাল ছাড়ল না। দিনের বেলা অন্যের বাড়িতে কাজ করত, আর রাতে হারিকেনের আলোয় পড়াশোনা চালিয়ে যেত। গ্রামে অনেকেই বলত, "মাইয়া মানুষ বইয়া কী করবি? বিয়া করাই বরং ভালো!"

কিন্তু রুপা দমল না। ধীরে ধীরে সে নিজের যোগ্যতায় শহরের একটা বড় কলেজে ভর্তি হলো, স্কলারশিপ পেলো, আর নিজের স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলল। কয়েক বছর পর, সে সত্যিই তার গ্রামে ফিরে এলো একজন শিক্ষক হয়ে।

এখন সেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা, যারা একসময় পড়াশোনার সুযোগ পেত না, তারা রুপার হাত ধরে স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। রুপা প্রমাণ করল, "মাইয়া মানুষ" শুধুই সংসারের জন্য নয়, তারা চাইলে পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে!

শেষ।

এই গল্পটি কেমন লাগলো? 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

6/sidebar/recent